সারা বিশ্বেই পুরুষদের মধ্যে আজকাল স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যার অন্যতম কারণ হলো ভুলভাল জীবনযাত্রা। স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া মানেই তা পরিবার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ানো।
ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, স্ট্রেসের কারণে সাধারণত এমনটা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে প্রতিদিনের কিছু ভুলের কারণে। বিশেষ কিছু অভ্যাস এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যেমন-
আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার পরা
আঁটোসাঁটো আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এই ভুল করবেন না। দিনে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা অন্তর্বাস ছাড়া থাকুন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালের রিপোর্ট বলছে, টাইট আন্ডারওয়্যার স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়।
কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা
নারী পুরুষ অনেকেই অফিস থেকে বাসায় ফিরে কোলের উপর ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু পুরুষরা ভুলেও এই কাজটি করবেন না। কারণ কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করার ফলে তার থেকে যে তাপ উৎপাদন হয়, তা স্পার্মের স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।
অত্যাধিক ধূমপান
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা চেইন স্মোকার তাদের স্পার্মকাউন্টেও অনেক সময় সমস্যা থাকে। কারণ নিকোটিন শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। সঙ্গে ধূমপানের ফলে শরীরের স্বাভাবিক ফলুইডের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে কমে স্পার্ম কাউন্টও।
মদ্যপান
ধূমপানের সঙ্গে কমাতে হবে মদ্যপানও। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে শুক্রাণুর স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বাবা হতে চাইলে এই স্বভাবেও রাশ টানুন। ধূমপান আর মদ্যপান কিন্তু ক্যানাসারেরও কারণ।
অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল
শীতকালে অনেকেই অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। গরমেও অনেকে গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যবহার করেন। গবেষকরা বলছেন, এই অভ্যাস শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে। তাই যাদের এই অভ্যাস আছে, তারা এখনই তা ত্যাগ করুন।
এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েট ফলো করুন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন। মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন পরবর্তী জীবনে আর কোনো সমস্যাই আসছে না। জীবন হবে সুন্দর, সমৃদ্ধ।