নারীর সৌন্দর্যে কাজল ব্যবহার করা হয় মূলত তিনটি কারণে:
চোখের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করা: কাজল চোখের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করে। এর কারণ হল, কাজল চোখের পাতা এবং আইল্যাশকে আরও ঘন ও কালো করে তোলে। এর ফলে চোখ বড় ও সুন্দর দেখায়।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা: কাজল পরলে নারীরা নিজেদেরকে আরও আকর্ষণীয় ও আত্মবিশ্বাসী মনে করে। এর কারণ হল, কাজল নারীর ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যকে আরও উন্নত করে তোলে।
ব্যক্তিত্ব প্রকাশ: কাজলের বিভিন্ন শেড বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও মেজাজকে প্রকাশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গাঢ় রঙের কাজল সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়, অন্যদিকে হালকা রঙের কাজল কোমল ও আবেগপ্রবণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়।
এছাড়াও, কাজলের কিছু অন্যান্য উপকারিতাও রয়েছে। যেমন, কাজল চোখের পাতাকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং রোদ থেকে রক্ষা করে।
সাধারণত, নারীরা সামাজিক অনুষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কাজল ব্যবহার করে। তবে, বর্তমানে অনেক নারীই প্রতিদিনের রুটিনে কাজল ব্যবহার করে।
আধুনিক সভ্যতায় কাজল ব্যবহারের প্রচলন অনেক প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ বছর আগে থেকেই মিশরীয় নারীরা কাজল ব্যবহার করত। মিশরীয়রা বিশ্বাস করত যে, কাজল চোখকে দূষণ এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, তারা বিশ্বাস করত যে, কাজল চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
বর্তমানে, কাজল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় একটি মেকআপ সামগ্রী। এটি বিভিন্ন রঙ ও শেডে পাওয়া যায়। কাজল ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কলম, পেন্সিল, জেল এবং লিকুইডের ব্যবহার করা হয়।